দিনাজপুরে ভবেশ রায়ের মৃত্যুকে ঘিরে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে উত্তাপ, কী ঘটেছিল সেখানে?
বাংলাদেশের দিনাজপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নেতার মৃত্যু ঘিরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য ও ব্যাখ্যার পর শুরু হয়েছে কূটনৈতিক আলোচনা।
স্থানীয় শোক, আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করেন।
তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভবেশ রায়ের মৃত্যুকে ‘পদ্ধতিগত হত্যাকাণ্ড’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তাদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় এই ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া
অন্যদিকে, বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন মুখপাত্র ভারতের দাবি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন—
“এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য।”
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মারুফাত হুসাইন এক বিবৃতিতে বলেন—
“ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যু স্বাভাবিক। এ নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। তদন্তে এর প্রমাণ মিলেছে।”
অতীত থেকে বর্তমান: একটি স্পর্শকাতর ইস্যু
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ সরকার বলে আসছে—
“বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, এখানে সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।”
এখন কী ঘটছে?
-
ঘটনাটি নিয়ে উভয় দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
-
স্থানীয় প্রশাসন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
-
সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে চলছে তীব্র বিতর্ক।
উপসংহার
ভবেশ রায়ের মৃত্যুতে একটি সাধারণ জনগণের পরিবার হারিয়েছে তাদের প্রিয়জনকে।
কিন্তু সেই মৃত্যু এখন দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
সত্য উদঘাটনের জন্য প্রয়োজন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং উত্তেজনার বদলে দায়িত্বশীল আচরণ।