ভয়াল ২৯ এপ্রিল: আজও অরক্ষিত উপ
১৯৯১ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলজুড়ে মৃত্যুর মিছিল
কুতুবদিয়ায় হারানো সন্তানদের জন্য অপেক্ষায় পুতিলা বেগম
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার তাবালেরচরে বেড়িবাঁধের পাশে বসে থাকা পুতিলা বেগমের দৃষ্টি এখনো সাগরের দিকে। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে তিনি হারিয়েছেন তার ৪ সন্তানকে।
তিনি বলেন—
স্মৃতি আজও কাঁদায় উপকূলবাসীকে
চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও মহেশখালীসহ পুরো উপকূল জুড়ে ঘূর্ণিঝড়ের স্মৃতি আজও জীবন্ত। নিহতদের লাশ, আর্তনাদ, বেদনা এবং স্বজন হারানোর কান্না এখনো তাড়া করে সেসব এলাকার মানুষকে।
দ্বীপ ক্ষয় ও টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি জোরালো
দ্বীপ কুতুবদিয়ার আয়তন কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ বর্গকিমিতে
উত্তর ধুরুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম বলেন—
“ষাটের দশকে দ্বীপের আয়তন ছিল ৬০ বর্গকিমি, এখন তা মাত্র ১৭। বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রতিবছরই ভূমি হারাচ্ছে কুতুবদিয়া। অতীতে সংস্কারের নামে ছিল দুর্নীতি, এবার চাই টেকসই বাঁধ।”
প্রশাসনের বক্তব্য ও পদক্ষেপ
-
কুতুবদিয়া ইউএনও ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা জানান,
বর্ষা মৌসুম সামনে রেখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত সমাধানে কাজ চলছে। -
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন,
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৯১-এর ঘূর্ণিঝড়পীড়িত মানুষেরা আজ কোথায়?
দুর্যোগের পরে কুতুবদিয়ার অনেক বাসিন্দা কক্সবাজার শহরের সাগরতীরবর্তী বিমানবন্দর এলাকায় আশ্রয় নেন। এখনো অনেকে সে অঞ্চলেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।