Health
শুধু খাবার নয়, স্বাস্থ্যেরও বড় বিনিয়োগ — ডিম

বিশ্ব ডিম দিবস ২০২৫: ডিমের পুষ্টি, স্বাস্থ্যের প্রতিশ্রুতি
আজ শুক্রবার বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডিম দিবস। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়ও চলছে নানা আয়োজন — শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, পোস্টার ক্যাম্পেইন ও সিদ্ধ ডিম বিতরণ উৎসব।
বিশ্ব ডিম দিবসের উদ্দেশ্য
১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় প্রথমবারের মতো বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়।
এরপর থেকে প্রতি বছরের অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্বব্যাপী এই দিনটি উদযাপন করা হয়।
মূল উদ্দেশ্য হলো — ডিমের পুষ্টিগুণ, সহজলভ্যতা ও স্বাস্থ্যগুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
এবারের প্রতিপাদ্য
২০২৫ সালের বিশ্ব ডিম দিবসের প্রতিপাদ্য:
“ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন।”
এ উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ওয়াপসা-বিবি যৌথভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন থেকে বর্ণিল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ঘুরে আবার কেআইবিতে ফিরে আসে। পরে সেখানে হয় আলোচনা সভা।
পুষ্টিতে ভরপুর এক খাবার
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম শুধু খাবার নয় — এটি এক স্বাস্থ্য বিনিয়োগ।
প্রতিদিন একটি ডিম খেলে শরীরে তৈরি হয় প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা, হাড় মজবুত থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
একটি মাঝারি আকারের ডিমে থাকে —
-
৬–৭ গ্রাম প্রোটিন
-
ভিটামিন A, B2, B6, B12, D, E
-
আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও জিঙ্ক
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে ডিমের ভূমিকা অপরিসীম।
এছাড়া এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ, দৃষ্টিশক্তি রক্ষা ও মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ডিম উৎপাদনে এগিয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২,৩০০ কোটি ডিম উৎপাদিত হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
দেশজুড়ে ৬০ হাজারের বেশি খামার ডিম উৎপাদনে যুক্ত এবং প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই খাতের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত।
তবে এখনো গড়ে একজন মানুষ বছরে মাত্র ১৩০টি ডিম খায়, যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ ৩৬৫টি ডিম।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
পোলট্রি বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
স্কুল পর্যায় থেকেই শিশুদের প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
এতে অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতা কমবে, এবং দেশের আমিষ ঘাটতি পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে।
উপসংহার
ডিম শুধু সাশ্রয়ী ও পুষ্টিকর খাবার নয় — এটি এক সুস্থ জীবনের প্রতিশ্রুতি।
তাই এবারের বিশ্ব ডিম দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক —
“ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন।”
