অদ্ভুত, চমৎকার ও ভীতিকর রোবট: প্রযুক্তির আশীর্বাদ না অভিশাপ?
রোবট— শব্দটি এক সময় ছিল শুধুই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির অংশ। কিন্তু আজ তা বাস্তব, ছোঁয়া যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে, এমনকি কথা বলছে মানুষের মতো করেই।
বিশ্বের নানা দেশে তৈরি হচ্ছে নানা রকমের রোবট।
কারও কাজ বাড়ির পরিচর্যা, কেউ চিকিৎসা দেয়, আবার কেউ মানুষের মতো হাঁটে, হাসে, এমনকি আবেগও প্রকাশ করে।
জাপানের ‘Asimo’ কিংবা আমেরিকার ‘Atlas’— এমন সব হিউম্যানয়েড রোবট যাদের দেখে বোঝার উপায় নেই যে তারা মানুষ নয়। এতটাই নিখুঁত এবং বুদ্ধিমান এরা।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—
এই রোবটগুলো কি শুধুই চমৎকার?
বেশ কিছু ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট একবার বলে বসেছিল, “আমি পৃথিবী শাসন করতে চাই।”
এই কথাগুলো শুধু ভয়ই নয়, ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বিপদও দেখিয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন:
রোবট যদি নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পায়, তাহলে এক সময় তারা মানুষকেই অপ্রয়োজনীয় করে তুলতে পারে।
আমরা এখন এক প্রযুক্তির যুগে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে রোবটেরা অদ্ভুত, চমৎকার এবং একই সঙ্গে ভীতিকরও।
আমরা প্রযুক্তিকে তৈরি করছি, কিন্তু প্রশ্ন হলো— প্রযুক্তিই কি একদিন আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে?
2 thoughts on “অদ্ভুত, চমৎকার ও ভীতিকর রোবট: প্রযুক্তির আশীর্বাদ না অভিশাপ?”