বাংলাদেশ
ইউনূস না অন্যকেউ ? কে হবেন বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি ?

ইউনূস না অন্যকেউ ? প্রেক্ষাপট ও রাজনৈতিক অবস্থা
যেহেতু রাষ্ট্রপতির পদ সাধারণত সাংসদদের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় । তার অর্থ রাজনৈতিক অবস্থান ও ক্ষমতার ভারসাম্যের ওপর এটি নির্ভর করে।
বর্তমান সময়টিতে বাংলাদেশে চলছে একাধিক রাজনৈতিক উথাল-পাথাল। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এখনও নিষিদ্ধ ও নির্বাসিত । নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছে না
মাঝে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে । সম্ভাব্য নির্বাচন ফেব্রুয়ারি থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত হতে পারে, তবে ইউনূস না অন্যকেউ ?
সারসংক্ষেপে:
- পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন—তাতে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই?
রাজনৈতিক অনুমান করা যাচ্ছে, তবে তা ভিত্তিহীন এবং সময় প্রমাণ করবে?
রাষ্ট্রপতির আসনে কি বসতে পারেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস? - বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেক্ষাপটে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রাষ্ট্রপতি হওয়ার সম্ভাবনা।
- নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
- ফলে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁর নাম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসা অস্বাভাবিক নয়।
কেন আলোচনায় ড. ইউনূস?
১. আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা
তুলনামূলকভাবে ড. ইউনূস বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত একজন অর্থনীতিবিদ ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী। তাঁর আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবে সুবিধা এনে দিতে পারে।
২. অরাজনৈতিক ভাবমূর্তি
রাষ্ট্রপতির পদ সাধারণত রাজনৈতিক সংঘাতের বাইরে থাকা একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে দেয়া হয়। সেই দিক থেকে ড. ইউনূসের ভাবমূর্তি মানানসই হতে পারে।
৩. অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা
বর্তমানে তিনি যে অন্তর্বর্তী সরকার নেতৃত্ব দিচ্ছেন । সেটি ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমীকরণ নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সমঝোতার পথে হাঁটে,
তাহলে রাষ্ট্রপতির পদে ড. ইউনূসকে বিবেচনা করা হতে পারে।
তবে চ্যালেঞ্জও আছে:
দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকেই ড. ইউনূসকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখেন। ফলে রাষ্ট্রপতির আসনে তাঁর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে আসলে তীব্র বিরোধিতা দেখা দিতে পারে।
অস্থায়ী নাকি দীর্ঘমেয়াদি? অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তাঁর ভূমিকা মূলত সাময়িক। ভবিষ্যতে তিনি কি রাষ্ট্রপতির মতো দীর্ঘমেয়াদি পদে বসবেন—এ নিয়েও প্রশ্ন আছে।
বিশ্লেষকদের মন্তব্য:
- রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতির নির্বাচন মূলত সংসদের ভোটের মাধ্যমে হয়।
অর্থাৎ সংসদে যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে, তারাই প্রার্থী নির্বাচন করবেন।
- যদি নিরপেক্ষ প্রার্থীর দিকে রাজনৈতিক দলগুলো ঝুঁকে পড়ে, তখন ড. ইউনূসের নাম তালিকার শীর্ষে থাকতে পারে।
👉 সংক্ষেপে:
সর্বোপরি ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রপতি হবেন কি না তা এখনো অনিশ্চিত। তবে তাঁর আন্তর্জাতিক মর্যাদা, নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব তাঁকে আলোচনার শীর্ষে রেখেছে। সবশেষে, সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ ও দলীয় সমঝোতার ওপর।
