এরদোগানের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল তুরস্ক

এরদোগানের

এরদোগানের পদত্যাগ

এরদোগানের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল তুরস্ক

তুরস্কের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ, ইস্তান্বুলের মেয়র একরেম ইমামোলুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। আন্দোলন এখন এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে রূপ নিয়েছে।

গত বুধবার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ইমামোলুসহ বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতা গ্রেফতার হন। এরপর থেকেই ইস্তান্বুলসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ২০১৩ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে এ ঘটনার তুলনা করছেন, যা সে সময় আটজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।

বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ইস্তান্বুলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে এবং পাঁচ দিনের জন্য সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। বৃহস্পতিবার সহিংসতার জেরে আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করা হয়।

এরদোগানের

পুলিশি দমন-পীড়ন

বার্তা সংস্থা এপি জানায়, শুক্রবার ইস্তান্বুলের বিক্ষোভে পুলিশ পেপার স্প্রে, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। আঙ্কারা ও ইজমিরেও একইভাবে বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। বিশেষ করে আঙ্কারায় শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিক্ষোভকারীদের অব্যাহত প্রতিবাদ

সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও বিক্ষোভকারীরা পিছু হটেননি। তারা এরদোগানের শাসনকে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে তুলনা করে পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে শুক্রবার একদিনেই ৩৪৩ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।

এরদোগানের

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

ইমামোলু, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ। জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, তিনি এরদোগানের জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। তার দল, রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি), গ্রেফতারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে এবং সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

বর্তমানে তুরস্কে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। সরকারবিরোধী এই আন্দোলন কি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে, নাকি সরকার কঠোর দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিক্ষোভ দমন করবে, তা সময়ই বলে দেবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial