কুষ্টিয়ার ৩ প্রধান দর্শনীয় স্থান: লালন শাহের মাজার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি ও গড়াই নদী
কুষ্টিয়া শুধু রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি বাংলার ঐতিহ্য ও মনীষীদের স্মৃতিবাহী একটি ঐতিহাসিক স্থান। জেলার প্রধান আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে লালন শাহের মাজার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি ও গড়াই নদী।
১. লালন শাহের মাজার: বাউল সংস্কৃতির তীর্থস্থান
কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় অবস্থিত লালন শাহের মাজার শুধু একটি পর্যটন কেন্দ্র নয়, এটি বাউল দর্শন ও ভাববাদী সাধনার প্রাণকেন্দ্র।
- লালন শাহ ছিলেন বাংলার বাউল সম্রাট, যিনি মানবতার বাণী প্রচার করেছেন।
- প্রতি বছর এখানে লালন মেলা ও সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীরা অংশ নেন।
- লালনের গান, তাঁর জীবনদর্শন ও মাজারের আশপাশের শান্ত পরিবেশ দর্শনার্থীদের মন ছুঁয়ে যায়।
২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি: সাহিত্যের এক অধ্যায়
কুষ্টিয়ার শিলাইদহে অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত একটি ঐতিহাসিক স্থান।
- এই বাড়িতে বসেই তিনি গীতাঞ্জলি, পোস্টমাস্টার, ছিন্নপত্রের মতো অমর সাহিত্যকর্ম রচনা করেন।
- বর্তমানে এটি একটি সংগ্রহশালা, যেখানে কবির ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও সাহিত্যকর্ম সংরক্ষিত রয়েছে।
- রবীন্দ্রসংগীতপ্রেমী ও সাহিত্য অনুরাগীদের জন্য এটি একটি অবশ্যই দর্শনীয় স্থান।
৩. গড়াই নদী: কুষ্টিয়ার প্রাণ
কুষ্টিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক গড়াই নদী, যা পদ্মার একটি প্রধান শাখা নদী।
- এই নদী মৎস্যজীবী ও কৃষকদের জীবনযাত্রার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
- গড়াই নদীর পাড়ে বসে নদীর বয়ে যাওয়া দৃশ্য উপভোগ করা এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
- বর্ষাকালে নদীর সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং এটি ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে।
শেষ কথা
কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি ও গড়াই নদী একদিকে যেমন সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পর্যটকদের জন্য দারুণ আকর্ষণীয় স্থান। যারা সাহিত্য, দর্শন ও প্রকৃতির মিশেলে এক অনন্য অভিজ্ঞতা নিতে চান, তাদের জন্য কুষ্টিয়া এক আদর্শ ভ্রমণ গন্তব্য।
One thought on “কুষ্টিয়ার ৩ প্রধান দর্শনীয় স্থান: লালন শাহের মাজার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি ও গড়াই নদী | Ngn News”