গাজায় জরুরি স্বাস্থ্যকর্মীদের হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলের ভুল স্বীকার
“গাজায় ১৫ জন জরুরি সেবাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ইসরায়েল প্রথমবারের মতো তাদের সামরিক বাহিনীর ভুল স্বীকার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৩শে মার্চ, যখন একটি জরুরি গাড়ি বহরের ওপর চালানো হয় গুলি।”
স্টেপ ১: ঘটনার বিবরণ
২৩শে মার্চ, গাজার রাফা অঞ্চলে একটি জরুরি যানবাহনের বহরে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাড়িগুলোর মধ্যে ছিল ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি অ্যাম্বুলেন্স, জাতিসংঘের একটি গাড়ি এবং গাজার সিভিল ডিফেন্সের একটি অগ্নিনির্বাপক ট্রাক।
স্টেপ ২: ইসরায়েলের প্রাথমিক ব্যাখ্যা
ঘটনার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, অন্ধকারে হেডলাইট বা ফ্ল্যাশিং লাইট ছাড়াই চলা এই গাড়ি বহরকে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় গুলি চালানো হয়। এছাড়াও, তারা দাবি করে, গাড়িগুলোর চলাচলের বিষয়ে পূর্বে কোন সমন্বয় করা হয়নি।
স্টেপ ৩: ভিডিও ফুটেজের প্রকাশ
তবে, নিহত এক প্যারামেডিকের ফোন থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়—আহতদের সাহায্যের জন্য গাড়িগুলোতে আলো জ্বালানো ছিল এবং আশপাশে ডাকাডাকি হচ্ছিল। এটি ইসরায়েলের প্রাথমিক বক্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
স্টেপ ৪: আইডিএফ-এর দাবি ও স্বীকৃতি
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) পরে জানায়, নিহতদের মধ্যে অন্তত ছয়জনের সঙ্গে হামাসের সম্পৃক্ততা ছিল। তবে তারা এই দাবি সমর্থনে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। একই সঙ্গে আইডিএফ স্বীকার করেছে—গুলিবর্ষণের সময় গাড়ি বহরে থাকা মানুষরা নিরস্ত্র ছিলেন।
স্টেপ ৫: মানবিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এই হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তারা সবাই জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ছিলেন এবং সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে কাজ করছিলেন।
One thought on “গাজায় জরুরি স্বাস্থ্যকর্মীদের হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলের ভুল স্বীকার”