ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি : ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি, আটক ৪

ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি, আটক ৪

 

 

ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি

ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি:নওগাঁয় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে চাঁদাবাজি, জনতার হাতে ধরা ৪ প্রতারক

নওগাঁর পত্নীতলায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে চাঁদাবাজির অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা ও ব্যবসায়ীরা। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

রোববার (১৬ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার শিহাড়া ইউনিয়নের আলপাকা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তিরা হলেন— সাপাহার উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের সাদেক উদ্দিন, গাঞ্জাকুড়ি গ্রামের রায়হান ও মুক্তার এবং পত্নীতলার গোবিন্দবাটি গ্রামের আকাশ।

ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি, আটক ৪

চাঁদাবাজির কৌশল

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর ১টার দিকে আটককৃতরা শিহাড়া ইউনিয়নের আলপাকা বাজারে বিভিন্ন দোকানে গিয়ে নিজেদের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেয়। তারা দোকান মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য কাগজপত্র চায়। কেউ কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হলে নগদ চাঁদা দাবি করা হয়।

তাদের সন্দেহজনক আচরণ দেখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা একপর্যায়ে পরিচয় জানতে চান। তারা যথাযথ পরিচয় দিতে ব্যর্থ হলে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি, আটক ৪

ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা

দেলোয়ার হোসেন নামে এক মুদি ব্যবসায়ী জানান, “তারা আমার দোকানে এসে ট্রেড লাইসেন্স দেখতে চায়। আমি জানাই, লাইসেন্স আমার ভাইয়ের কাছে আছে। তখন তারা বলে, ‘আমরা ইউএনও স্যারের লোক, তোমাকে জেলে পাঠিয়ে দেব’। এরপর তারা মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনো আনসার বা পুলিশ সদস্য ছিল না, যা আমাদের সন্দেহ হয়। পরে বাজারের সবাই মিলে তাদের আটক করি।”

পুলিশের বক্তব্য

পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান বলেন, “চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক চারজনকে থানায় আনা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জনসচেতনতার আহ্বান

স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে এবং এ ধরনের সন্দেহজনক ঘটনা ঘটলে দ্রুত থানায় জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।

আরোও পড়ুন…

One thought on “ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি : ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি, আটক ৪

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *