চাঁদা না দেওয়ায় ছুরিকাঘাত, নদীতে ঝাঁপ দেওয়া প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার
২৬ এপ্রিল ২০২৫
মালয়েশিয়া ফেরত যুবক আল আমিন মন্ডল (২৫) চাঁদা না দেওয়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে যমুনা নদীতে ঝাঁপ দেন।
পরদিন টাঙ্গাইলের গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের দুর্গম চর রাখালগাছি এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কি ঘটেছিল?
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে,
গত শুক্রবার বিকেলে আল আমিন তার মামা, বোনসহ কয়েকজন মিলে পাত্রী দেখতে যান ঢালারচর গ্রামের খৈয়মের বাড়িতে।
সেখান থেকে ফেরা পথে আল আমিন রাখালগাছি বাজারে যান।
সেসময় পাবনার কোমরপুর গ্রামের শাহ আলী (৩০) ও রবিউল ইসলাম (৩৫)-সহ আরও সাত-আটজন মোটরসাইকেলে করে সেখানে এসে
আল আমিনকে মারধর ও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।
আত্মরক্ষায় আল আমিন পার্শ্ববর্তী যমুনা নদীতে ঝাঁপ দেন।
সেই থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
চাঁদা দাবির পেছনের ঘটনা
পরিবার জানায়,
চার মাস আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন আল আমিন।
প্রায় ১৫-১৬ দিন আগে শাহ আলী তার কাছে চা খাওয়ার অজুহাতে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
টাকা না দেওয়ায় মোবাইলে আল আমিনকে গালাগালি করা হয় এবং উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
পুলিশের বক্তব্য
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন—
“শুক্রবার বিকেলে রাখালগাছি এলাকায় ঘোরার সময় আল আমিনের ওপর হামলা হয়।
নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর রাতভর অভিযান চালিয়ে
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
নিহত আল আমিন পাবনার আমিনপুর উপজেলার সিদ্দিকনগর রামনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।
-
বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে প্রাণ হারান তিনি।
-
হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।