জায়মা রহমান রাজনীতিতে অভিষেকের ইঙ্গিত
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন তার কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা জারনাজ রহমান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে—তবে কি তিনি রাজনীতির মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে পা রাখতে চলেছেন?
বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসলেও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, এটি নিছক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের বিষয়। তবে আরেকটি পক্ষ বলছে, এই সফর তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার সূচনা হতে পারে।
জিয়া পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে জায়মা রহমানের রাজনৈতিক আবির্ভাব কতটা সম্ভাবনাময়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তারেক রহমানের ব্যস্ততার কারণে তিনি এই সফরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বলে অনেকেই মনে করলেও, আন্তর্জাতিক এমন একটি আয়োজনে তার উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, “এটি এখনো কৌতূহলের পর্যায়েই আছে। বিএনপি বা জায়মা রহমান কেউ-ই এখনো ঘোষণা দেননি যে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন। তবে তার যোগ্যতা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলে ভবিষ্যতে রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।”
ভারতীয় উপমহাদেশে পারিবারিক রাজনীতির দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। জিয়াউর রহমানের পর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্বে এসেছেন। তাই জায়মা রহমানকেও ভবিষ্যতে রাজনীতির নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বিএনপির তরুণ নেতাদের অনেকেই এই ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, “জায়মা রহমানের অংশগ্রহণ তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি শুধু বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেননি, বরং বাংলাদেশের যুবসমাজের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছেন।”
লন্ডনে বেড়ে ওঠা এবং কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যারিস্টারি পাস করা জায়মা রহমান রাজনীতির পরিবর্তে আইন পেশায় যুক্ত আছেন। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে নতুন কৌতূহল জাগিয়েছে।
তিনি রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত হবেন কি না, সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে এই সফর যে তার রাজনীতিতে প্রবেশের ইঙ্গিত বহন করছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।