মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে একের পর এক আক্রমণ করে যাচ্ছেন এবং তাকে স্বৈরশাসক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একদিন আগেই তিনি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেন, যা তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত বিভেদের সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর জেলেনস্কি সৌদি আরবে ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বৈঠক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনও আলোচনা না করার দাবি জানান।
পাশাপাশি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে রাশিয়ার প্রভাবিত ভুল তথ্যের জগতে বাস করা ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। যদিও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেন সামরিক আইনের অধীনে রয়েছে এবং নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে, তবে ট্রাম্প জেলেনস্কির সমালোচনা করেছেন তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ক্ষমতায় থাকার জন্য।
এদিকে, ইউরোপের নেতারা ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেইর স্টারমার জেলেনস্কির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, যুদ্ধের সময় নির্বাচন স্থগিত করা যুক্তিসঙ্গত ছিল, যেমনটি যুক্তরাজ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় করেছিল। সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকও ট্রাম্পের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।
ফ্লোরিডা থেকে বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনের উচিত ছিল যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই চুক্তি করে ফেলা। তিনি দাবি করেন, রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে চায় এবং তার মতে, এই যুদ্ধ বন্ধের ক্ষমতা তার রয়েছে।