আন্তর্জাতিক বাংলা
প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল : নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল: নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এই রুলসহ আদেশ দেন।
গণবিজ্ঞপ্তির পটভূমি
নির্বাচন কমিশন ১০ মার্চ নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এই গণবিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম ১৬ মার্চ একটি রিট আবেদন দাখিল করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবেদা গুলরুখ।
হাইকোর্টের নির্দেশনা
রিট আবেদনকারীর দাবি অনুযায়ী, হাইকোর্ট রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনে ইসির গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ক্ষেত্রে স্থগিত করেছেন। আদালত একই সঙ্গে রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, কেন এই গণবিজ্ঞপ্তিকে আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না।
গণবিজ্ঞপ্তির মূল বিষয়
ইসি প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ক ধারা অনুযায়ী রাজনৈতিক দল হিসেবে আবেদন করতে ইচ্ছুক দলগুলোকে ২০০৮ সালের রাজনৈতিক দল বিধিমালার শর্ত পূরণ করতে হবে। এই শর্ত অনুসারে, ২০ এপ্রিলের মধ্যে নির্ধারিত ফরম-১ পূরণ করে আবেদন জমা দিতে হবে।
বিতর্কিত শর্ত
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০খ ধারায় জন্য বিভিন্ন শর্ত উল্লেখ রয়েছে, যার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো:
- কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় কেন্দ্রীয় অফিস থাকতে হবে।
- কমপক্ষে ১০০টি উপজেলা এবং ২২টি জেলায় দলীয় কমিটি থাকতে হবে।
- প্রতিটি উপজেলা অফিসে ন্যূনতম ২০০ ভোটারের তালিকাভুক্তি থাকতে হবে।
রিট আবেদনকারীর যুক্তি, পার্বত্য অঞ্চলের ২০টি উপজেলার জনগণ এই শর্তের কারণে রাজনৈতিক দল করতে পারবেন না, যা সংবিধানের রাজনৈতিক অধিকারের পরিপন্থী।
সারসংক্ষেপ
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ২০১১ সালে স্বৈরতান্ত্রিক সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে কিছু শর্ত যুক্ত করে, যা রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে কঠিন করে তোলে। সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, এই গণবিজ্ঞপ্তি তার পরিপন্থী বলে তারা দাবি করেন।
এ পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের রুল জারির ফলে বিষয়টি আরও গভীরভাবে বিচারাধীন হবে এবং রাজনৈতিক দল শর্ত পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
