Connect with us

বাংলাদেশ

সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: দুইটি পরিবারের ১৪টি ঘরসহ সবকিছু পুড়ে ছাই

Published

on

সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: দুইটি পরিবারের ১৪টি ঘরসহ সবকিছু পুড়ে ছাই

সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: দুইটি পরিবারের ১৪টি ঘরসহ সবকিছু পুড়ে ছাই

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুইটি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটায় উপজেলার তিন নম্বর বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়া (কবিরাজপাড়া) এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে সিরাজুল ইসলাম ও তাঁর ছোট ভাই সাদিকুল ইসলামের বাড়ির ১৪টি সেমিপাকা টিনের ঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।

ঘটনার বিবরণ

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয় মো. সিরাজুল ইসলামের ঘর থেকে। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং পাশের বাড়ির সাদিকুল ইসলামের ঘরেও প্রবল গতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরের মধ্যে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, তৈজসপত্র, ধান-চাল, হাঁস-মুরগী, জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র—সবকিছু পুড়ে যায়। আগুনে দুই পরিবারের প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টা

আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে ততক্ষণে দুই পরিবারের ঘরবাড়ি ও যাবতীয় সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ক্ষয়ক্ষতি ও বর্তমান পরিস্থিতি

অগ্নিকাণ্ডের পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমানে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, নেই খাবার কিংবা প্রয়োজনীয় গৃহস্থালি সামগ্রী।

বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আনিসুর রহমান জানান, “সিরাজুল ইসলাম ও সাদিকুল ইসলাম সহোদর। আকস্মিক এই অগ্নিকাণ্ডে তাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। তাদের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।”

আগুনের সম্ভাব্য কারণ

এখনো পর্যন্ত আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

সরকারি সহায়তা ও প্রশাসনের অবস্থান

স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনো সরকারি কোনো সহায়তা পায়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

শেষ কথা

এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুইটি পরিবারের জীবন এক নিমিষেই বদলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। তাদের জন্য খাদ্য, বাসস্থান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করা জরুরি।

আপনার মতামত ও সহযোগিতা:
এই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে স্থানীয় প্রশাসন ও মানবিক সংস্থাগুলোর কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

আরোও পড়ুন…

Continue Reading
Advertisement
5 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © 2017 Zox News Theme. Theme by MVP Themes, powered by WordPress.