সৌদি আরব ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সৌদি আরব ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিক থেকে সরিয়ে আনতে এবং মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায়।
সৌদি আরবের উদ্বেগের মূল কারণ হলো, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের আঞ্চলিক সহযোগীদের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে, যা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে উৎসাহিত করতে পারে। সৌদি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে ইরানকে আলোচনায় উৎসাহিত করতে চান।
তবে ইরানের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, তবে যোগাযোগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ নয়। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন চুক্তির মাধ্যমে ইরানকে শান্তিপূর্ণভাবে উন্নতি করতে দেখতে চান, তবে পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি-ইরান সম্পর্কের উত্তেজনা কিছুটা কমেছে, বিশেষ করে চীনের মধ্যস্থতায় দুই দেশ ২০২৩ সালে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয়। সৌদি আরব কূটনৈতিকভাবে আরও নমনীয় অবস্থান নিচ্ছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চায়।
এছাড়া, সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষার শর্ত দিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পরিকল্পনার সঙ্গে সরাসরি মিলে যায় না। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সৌদি আরব তার কৌশলগত স্বার্থ বজায় রেখে বিভিন্ন কূটনৈতিক বিকল্প খুঁজছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের নতুন পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতায় সৌদি!

Please follow and like us: