পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় উদ্বেগ
২৬ এপ্রিল ২০২৫
পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
ভারত-শাসিত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে, যা পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ইতিহাস
🇵🇰 পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত
পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, ভারতের কোনো একতরফা পদক্ষেপ “যুদ্ধ” ঘোষণার সমতুল্য হবে।
পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে পূর্ণ শক্তিতে জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (NSC)।
এক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন, “যদি ভারতের পদক্ষেপ পাকিস্তানের পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাহলে পাকিস্তান সামরিক হামলা চালাতে পারে—এমনকি পরমাণু হামলাও।”
সিন্ধু পানি চুক্তি ও বর্তমান সংকট
১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এক বিরল সহযোগিতার নিদর্শন।
এই চুক্তির আওতায় পাকিস্তান সিন্ধু, ঝেলম ও চেনাব নদীর পানির ওপর নির্ভর করে, যা দেশের কৃষির ৯০ শতাংশের জোগানদাতা।
কিন্তু ভারতীয় মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS) জানায়, তারা চুক্তি “স্থগিত” করেছে। এটি ভবিষ্যতে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তানের এনএসসি জানিয়েছে, “পানির প্রবাহ বন্ধ করা মানেই যুদ্ধ ঘোষণা। এবং আমরা জাতীয় শক্তির সম্পূর্ণ পরিসরে এর জবাব দেব।”
এছাড়া পাকিস্তান বলেছে, বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে থাকা সিন্ধু পানি চুক্তি একতরফাভাবে বাতিল করা সম্ভব নয়। এই চুক্তি রক্ষায় তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সরব হবে।
ভারতীয় দিকের অবস্থান
ভারত বলছে, তারা চুক্তি “বাতিল” করেনি, বরং সাময়িকভাবে “স্থগিত” করেছে।
তাদের মতে, পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসবাদ দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তাহলে চুক্তি আবারও সচল হতে পারে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ায় পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা
সংক্ষেপে:
-
পাকিস্তান সিন্ধু পানি চুক্তি রক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
-
ভারতের একতরফা পদক্ষেপকে “যুদ্ধ” হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
-
পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।