ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলে সেনাদের আরও গভীরে প্রবেশের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ফের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। সেনা
বাহিনীকে ভূখণ্ডটির আরও গভীরে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। সেই সঙ্গে হামাসের হাতে বন্দি থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত গাজার আরও জমি দখলের পরিকল্পনাও রয়েছে তেল আবিবের।
শুক্রবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে, তারা গাজা শহরের পশ্চিমে তিনটি পাড়ায় অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে এবং ফিলিস্তিনিদের আগে থেকেই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে।
উত্তর গাজা থেকে ছোড়া দুটি রকেট প্রতিহত করার পরেই এই সতর্কতা জারি করা হয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, উত্তর গাজা থেকে ছোড়া রকেটের কারণে ইসরাইলের উপকূলীয় শহর আশকেলনে সাইরেন বাজতে শুরু করে।
গাজার উত্তর ও দক্ষিণকে বিভক্তকারী একটি করিডোরের কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করার পর ইসরাইলি সেনারা বৃহস্পতিবার উত্তরের শহর বেইত লাহিয়া এবং দক্ষিণ সীমান্তবর্তী শহর রাফাহর দিকে অগ্রসর হয়। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা শহরসহ উত্তর গাজায় পুনরায় অবরোধ শুরু করেছে।
শুক্রবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ইসরাইল গাজায় ‘ক্রমবর্ধমান তীব্রতার সঙ্গে অভিযান চালাবে যতক্ষণ না হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সেনাবাহিনীকে গাজার আরও অঞ্চল দখল করার নির্দেশ দিয়েছি … হামাস যত বেশি জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তত বেশি অঞ্চল তারা হারাবে, আর সেগুলো ইসরাইলের সঙ্গে যুক্ত হবে।’
এছাড়া তিনি গাজার চারপাশে বাফার জোন সম্প্রসারণের হুমকিও দেন, যা ওই অঞ্চলে স্থায়ীভাবে ইসরাইলি দখল বাস্তবায়নের একটি পরিকল্পনার অংশ হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলের এই নতুন আগ্রাসন কেবলমাত্র গাজায় মানবিক সংকটকে আরও গভীর করবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবে। আন্তর্জাতিক মহল ইসরাইলের এই তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও নেতানিয়াহু সরকার তাদের সামরিক পরিকল্পনা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।