বাংলাদেশে সাতদিনে অন্তত ১১ জেলায় সংঘাত-সংঘর্ষ, নেপথ্যে কী?
গত এক সপ্তাহে বাংলাদেশের অন্তত ১১টি জেলায় সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যা নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করছে। জেলা, উপজেলা এবং গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন পক্ষ বা গোষ্ঠী দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। তবে, কেন এই ধরনের সহিংস ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে, আর কেনই বা থামানো যাচ্ছে না—এসব প্রশ্ন এখন সরগরম।
পুলিশের দাবি ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা
পুলিশের মতে, এসব সংঘর্ষ ‘আধিপত্য বিস্তার’ নিয়ে ঘটছে, আর তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলেই দাবি করছেন। তবে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে, নানা ধরনের অপরাধ বেড়েছে, এবং পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী জেলা, উপজেলা, এমনকি গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।
স্থানীয় সংঘর্ষের ভয়াবহতা:
স্থানীয় পর্যায়ে সংঘর্ষের ভয়াবহতার একটি উদাহরণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের কাজিয়ারচর এলাকায় দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। তাদের হাতে বালতি ভর্তি ককটেল, আর মাথায় হেলমেট। এদের মধ্যে কেউ বালতি থেকে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, আর শব্দ ও ধোঁয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।
বিলাসপুরে আধিপত্য বিস্তার ও সংঘর্ষ:
পুলিশ জানিয়েছে, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে, এবং এতে শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ফাঁকা মাঠে ককটেল হামলা:
ফাঁকা ফসলের মাঠে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান এবং একে অপরের দিকে ককটেল ছোঁড়ার দৃশ্য শ্বাসরুদ্ধকর এবং দেশের পরিস্থিতির চরম অবনতির প্রতিফলন।
এ ধরনের সহিংসতা শুধু স্থানীয় শান্তির পরিবেশকে ধ্বংস করছে না, বরং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও বড় ধরনের প্রশ্ন তৈরি করছে।
One thought on “বাংলাদেশে সাতদিনে অন্তত ১১ জেলায় সংঘাত-সংঘর্ষ, নেপথ্যে কী?”