নতুন বছরের এক মাস পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব পাঠ্যবই। তবে, রাজধানীর নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন বইয়ের দোকানে বিনামূল্যের বই বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, বই সরবরাহে দেরি হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা বইগুলো কালোবাজারে বিক্রি করছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, দ্রুত বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো না গেলে এই দৌরাত্ম্য বন্ধ হবে না।
সম্প্রতি নীলক্ষেতের বেশ কয়েকটি দোকানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই পাওয়া গেছে, যা বিক্রি করা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী, এসব বই বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও দিনদুপুরে এসব বইয়ের বিক্রি চলছে। বিক্রেতারা দাবি করছেন, অভিভাবক বা স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বইয়ের মূল কপি সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন বা পিডিএফ থেকে প্রিন্ট করে বই বিক্রি করছেন।
নতুন বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এখনো অনেক শিক্ষার্থী সব বই পায়নি। ঢাকার নীলক্ষেতসহ সারা দেশে বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিক্রি হচ্ছে। কিছু বই ছাপিয়ে সারা দেশে বিক্রির জন্য পাঠানোও হচ্ছে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বই জব্দ করেছে।
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, বই শিক্ষার্থীদের হাতে না পৌঁছানোর কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দূরদর্শিতার অভাব রয়েছে এবং তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এনসিটিবি জানিয়েছে, কিছু অসাধু প্রিন্টার ও ব্যবসায়ী বই সরবরাহ না করে তা কালোবাজারে বিক্রি করছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে এই কালোবাজারি বন্ধ করতে, এবং দ্রুত শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানোর জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।