বিয়ের সাত বছর পর সম্পর্ক অস্বীকার, স্বীকৃতি পেতে দ্বারে দ্বারে জোসনা

রিপোর্টার: [ওমর ফারুক], NGN News

 

অন্যের স্ত্রীকে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে নিয়ে সৌদি আরবে সংসার এরপর মোবাইল ফোনে পারিবারিক ভাবে বিয়ে—সবকিছুই ছিল ঠিকঠাক। কিন্তু সাত বছরের সম্পর্কের পর দেশে ফিরে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ মো. আব্দুল কুদ্দুস। স্বামীর এমন অস্বীকৃতিতে এখন আইনের আশ্রয়ে ন্যায়বিচারের আশায় ছুটছেন মোছা: জোসনা বেগম (২৭)। অভিযুক্ত মো. আব্দুল কুদ্দুস নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের হারিয়াগাছি উত্তরপাড়া গ্রামের মোনছের আলী সরদারের ছেলে।

২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর মোবাইল ফোনে উভয় পক্ষের সম্মতিতে তাদের বিয়ে পারিবারিক ভাবে সম্পন্ন হয়।বিয়ের পর দীর্ঘ সময় প্রবাসে থাকলেও চলতি বছরের ২৭ মার্চ দেশে ফেরেন আব্দুল কুদ্দুস। কিন্তু দেশে ফিরে জোসনাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। শুধু তাই নয়, অভিযোগ রয়েছে, তাকে ফোনে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছেন কুদ্দুস। জোসনা বেগম বলেন, “আমি তাকে বিশ্বাস করেই বিয়ে করেছি।

এখন সে আমাকে অস্বীকার করছে, নানা ভয়ভীতিও দেখাচ্ছে। আমি তার নিকট স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি ও সামাজিক মর্যাদা চাই।” এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। প্রতিবেশী মো. আব্দুল বারিক বলেন, সৌদি আরবে হজে গিয়ে তিনি কুদ্দুস ও জোসনাকে একসাথে দেখে এসেছেন, কুদ্দুস জোসনাকে তার স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন আমার সাথে।

আরেক প্রতিবেশী আব্দুল খালেক বলেন, আমি জোসনাকে কুদ্দুসের স্ত্রী হিসেবেই চিনি, পুরো এলাকাবাসী ও তা জানে, জোসনা কে অস্বীকার করা কুদ্দুসের অন্যায় হবে। স্থানীয় বাসিন্দা জাবেদ আলী মন্ডল বলেন, আমি জোসনাকে অনেকবার কুদ্দুসের বাসায় যাওয়া আসা করতে দেখেছি, সে সময় কুদ্দুস দেশের বাইরে ছিল, এবং কুদ্দুসের পরিবার জোসনাকে কুদ্দুসের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।

অভিযুক্ত মো. আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি জোসনা বেগমকে চিনেন না এবং তার সাথে কোনদিন বিয়ে হয়নি। কুদ্দুস এখনো অবিবাহিত তিনি কখনো বিয়ে করেননি। এ বিষয়ে নওগাঁ সদর থানার এআসআই আব্দুলাহ বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে যাই এবং অন-লাইনে তাদের বিয়ের একটি ভিডিও আমি পেয়েছি। আমি থানায় মামলা করার মত কোনো নথিপত্র পাইনি।

 

   ভিডিও লিংক>>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *