স্বর্ণের বাজারে নতুন ইতিহাস রচনা করেছে বিশ্ববাজার। প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২,৮০০ ডলার স্পর্শ করেছে। এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব ইতোমধ্যেই দেশের বাজারেও পড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ববাজারের তুলনায় দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলক কম হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের রেকর্ড
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২,৭৭০ ডলার থেকে বেড়ে ২,৮১৫ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। তবে স্থিতিশীল হয়ে সপ্তাহ শেষে ২,৭৯৭ ডলারে অবস্থান নেয়। এর আগে কখনোই এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২,৮০০ ডলার স্পর্শ করেনি।
বিশ্ববাজারের এই ঊর্ধ্বগতির ফলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) দেশীয় বাজারে স্বর্ণের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে। বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং গত ২৯ জানুয়ারি বৈঠক করে ৩০ জানুয়ারি থেকে নতুন দাম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়।
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম
দেশীয় বাজারে স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধির বিবরণ নিচে দেওয়া হলো—
- ২২ ক্যারেট: প্রতি ভরির দাম ১,৩৬৫ টাকা বৃদ্ধি, নতুন মূল্য ১,৪২,৭৯১ টাকা
- ২১ ক্যারেট: প্রতি ভরির দাম ১,৩০৭ টাকা বৃদ্ধি, নতুন মূল্য ১,৩৬,৩০৬ টাকা
- ১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরির দাম ১,১০৮ টাকা বৃদ্ধি, নতুন মূল্য ১,১৬,৮২৭ টাকা
- সনাতন পদ্ধতি: প্রতি ভরির দাম ৯৫৬ টাকা বৃদ্ধি, নতুন মূল্য ৯৬,০১৮ টাকা
দাম আরও বাড়তে পারে!
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিশ্ববাজারের ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশীয় বাজারেও স্বর্ণের দাম আরও বাড়তে পারে। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে চলতি বছরে দেশে তিন দফায় স্বর্ণের দাম বেড়েছে মোট ৪,৫০৩ টাকা, যা স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জন্য ইতিবাচক হলেও ক্রেতাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে দেশীয় বাজারে আরও পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।