কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার পুত্রের লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার পুত্রের লাশ উদ্ধার

 

 কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার পুত্রের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার পুত্রের লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার পুত্রের লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে গতকাল সকালে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক আরিফুল ইসলাম (২০) ছিলেন রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর এলাকার বাসিন্দা মো. সুরুজ্জামানের ছেলে, যিনি সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার পুত্র হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়রা তাঁকে মো. জাকির হোসেনের ভাতিজা হিসেবে জানতেন।

 কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার পুত্রের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার পুত্রের লাশ উদ্ধার

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী- কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ

লাশটি ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে একটি নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয়। আরিফুলের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তার সাথে বালু ব্যবসা এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আজাদদের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে আরিফুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

আরিফুলের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তার ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় আজাদ নামক ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী দ্বন্দ্ব চলছিল। পূর্ব শত্রুতার কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। নিহতের গলায় মাফলার পেঁচানো ছিল এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা হত্যার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ফোন পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত চলছে এবং মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

 কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার পুত্রের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার পুত্রের লাশ উদ্ধার

ঘটনার তদন্তের এক পর্যায়ে অভিযুক্ত আজাদ জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার সময় ঢাকা ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে আরিফুলের কোনো যোগাযোগ ছিল না। তবে পুলিশ বিষয়টি যাচাই করছে।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এলাকার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, এবং কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন যে এই ধরনের অপরাধ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

তবে এখনো খুনি বা খুনিদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, এবং পুলিশ চেষ্টা করছে দ্রুত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

আরোও পড়ুন…

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial