ইলিশের সুষ্ঠু বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে আগামীকাল (১ মার্চ) থেকে ভোলার ১৯০ কিলোমিটার এলাকাসহ মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ৩৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অভয়াশ্রমে দুই মাসের জন্য সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। পাশাপাশি মাছ বিক্রি, পরিবহণ ও সংরক্ষণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও মার্চ ও এপ্রিল মাসে ইলিশ সংরক্ষণে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য বিভাগ। এ সময় জেলেদের জন্য সরকারি প্রণোদনা হিসেবে মাসে ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও অনেক নিবন্ধিত জেলে তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভোলা জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরায় নিয়োজিত প্রায় ৪০ হাজার ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ১০ হাজারের বেশি সমুদ্রগামী ট্রলার রয়েছে। সমুদ্রগামী ট্রলার নিষেধাজ্ঞার আওতায় না পড়লেও সাগরে যেতে হলে জেলা মৎস্য অফিসের অনুমতি প্রয়োজন হবে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ মাইকিং ও পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছে। পাশাপাশি নদীতে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভোলার ৮৯ হাজার ৬০০ জেলের জন্য ৭ হাজার ১৬৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিতরণ শুরু হবে। এবার ইলিশের ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ইলিশ আহরণের আশা করা হচ্ছে।
আরো দেখুন >>
ভোলায় মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ২ মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
