Connect with us

খুলনা বিভাগ

স্ত্রীসহ বাগেরহাটের ৩ বন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ

Published

on

স্ত্রীসহ বাগেরহাটের ৩ বন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ

স্ত্রীসহ বাগেরহাটের ৩ বন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ

স্ত্রীসহ বাগেরহাটের ৩ বন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ

দুর্নীতির অভিযোগে বাগেরহাটের তিন বন কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এবং সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে মোট ২ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা রয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপসহকারী পরিচালক কাজী হাফিজুর রহমান আবেদনটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ফ্রিজের আদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন:

  • বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু ও তার স্ত্রী লোপা রানী মণ্ডল

  • বাগেরহাট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ

  • বন কর্মকর্তা হরিদাস মধু ও তার স্ত্রী দুলালী মধু

চিন্ময় মধু ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ৫টি ব্যাংক হিসাবে রয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা। এছাড়া জিএম রফিকের নামে ৬টি, তার স্ত্রীর নামে ৩টি, দুলালী মধুর নামে ২টি এবং হরিদাস মধু ও লোপা রানীর নামে ১টি করে মোট ১৩টি সঞ্চয়পত্রে রয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

অভিযোগের বিবরণ

দুদকের আবেদনে বলা হয়,

“চিন্ময় মধু, জি এম রফিক আহমেদ, হরিদাস মধু এবং তাদের স্ত্রীরা মিলে অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। পাশাপাশি ৩৫ জনের নামে ১৩টি সঞ্চয়পত্র কেনা হয়েছে।”

আবেদনে আরও বলা হয়,

“তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এবং তারা অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এই সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের স্বার্থে তা জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ করা প্রয়োজন।”

See More>>

Please follow and like us:
Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

খুলনা বিভাগ

মাগুরার শিশুকে হারানোর বেদনা — সাক্ষ্যগ্রহণে কাঁদল আদালত

Published

on

By

তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

মাগুরার শিশুকে হারানোর বেদনা — সাক্ষ্যগ্রহণে কাঁদল আদালত

তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

 মাগুরা:
কিছু ক্ষত কখনোই শুকায় না। আট বছরের সেই নিষ্পাপ শিশুটির মৃত্যুর পরে মাগুরা আজও কাঁদছে।
রোববার (২৭ এপ্রিল), সেই বেদনাদায়ক ঘটনার বিচারিক প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষ হলো — প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
আদালতের নিরব পরিবেশ ভেঙে কান্না জড়ানো কণ্ঠে দাঁড়ান শিশুটির মা। তাঁর পাশে দাঁড়ান প্রতিবেশী জলি খাতুন এবং শিশুটিকে বহনকারী ভ্যানচালক রুবেল হোসেন
তিনজনই বুক ভরা কষ্ট নিয়ে আদালতে নিজেদের কথা বললেন — সত্যের পক্ষে।

ন্যায়বিচারের পথে প্রথম কদম

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান,

আজ তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিচারক মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন সাক্ষীদের বক্তব্য ও আসামিপক্ষের জেরা। আগামীকাল আরও তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

এর আগে ২৩ এপ্রিল, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। তবে এতদিন আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এদিন মাগুরা লিগ্যাল এইডের সহায়তায় আইনজীবী সোহেল আহম্মেদ আসামিপক্ষে নিয়োগ পান। তিনি সাক্ষীদের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু নিথর সত্যের সামনে কোনো প্রশ্নই যেন ফিকে হয়ে যায়।

নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
অন্যদিকে শিশুটির মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বললেন,

ন্যায়বিচারের পথে প্রথম কদম

আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে। আমি চাই, আমার মেয়ের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।

নিষ্পাপ প্রাণের আর্তনাদ

গত ৬ মার্চ, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটি।
কিন্তু ওই সফরই তার জীবনের শেষ অধ্যায় হয়ে দাঁড়ায়।
দুষ্কৃতকারীরা তাকে ধর্ষণ করে, নির্মমভাবে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়।
অচেতন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে।

পরের সাত দিন ধরে চলে বেঁচে থাকার লড়াই।
শেষ পর্যন্ত ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিভে যায় তার ছোট্ট প্রাণ।
হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় ফিরে আসে শিশুটির নিথর দেহ।
নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা আর সব্দালপুরের মাঠে দ্বিতীয় জানাজার সাক্ষী হয় হাজার হাজার শোকাহত মানুষ।
শেষমেশ সোনাইকুন্ডীর মাটিতে চিরনিদ্রায় শুয়ে পড়ে নিষ্পাপ সেই আত্মা।

ন্যায়বিচারের প্রতীক্ষা

শিশুটির মৃত্যুর পর উত্তেজিত জনতা শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
মায়ের দায়ের করা মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।

আজ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আবারও মনে পড়ে যায় সেই প্রশ্ন—
একটি নিষ্পাপ প্রাণের জন্য কি সত্যিই আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারবো?

মাগুরার আকাশে এখনো যেন গুমোট বাতাস।
আর শিশুটির মায়ের ডুকরে কেঁদে ওঠা আর্তনাদ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে —

আমার মেয়ের মতো আর কোনো মা যেন সন্তান হারানোর যন্ত্রণা না পায়…

See More>>>

Please follow and like us:
Continue Reading

খুলনা বিভাগ

খুলনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল

Published

on

By

নির্বাচনী ইস্যুতে

খুলনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল

নির্বাচনী ইস্যুতে

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২৫ |

NGN News |

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে এবং শেখ হাসিনার ফিরে আসার দাবিতে খুলনায় ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের একাংশ।

রোববার ভোরে খুলনার জিরোপয়েন্ট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে হঠাৎ এ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন খুলনা জেলা ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সাইফ

মিছিলে কী বলা হয়?

নির্বাচনী ইস্যুতে


মিছিলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের দাবিতে স্লোগান দেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

উল্লেখযোগ্য দিক:


এই ঝটিকা মিছিলে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না। অংশ নেন বিভিন্ন উপজেলার কয়েকজন基层 কর্মী।

পুলিশের প্রতিক্রিয়া:


খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মো. আহসান হাবীব জানান, মিছিলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। জড়িতদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি:

নির্বাচনী ইস্যুতে
এর ঠিক একদিন আগেই, রাজধানীর একটি থানা পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন—”আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

NGN News বিশ্লেষণ:


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মাথায় খুলনায় এমন ঝটিকা মিছিল সরকারের জন্য চাপ বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

See More>>

Please follow and like us:
Continue Reading

খুলনা বিভাগ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনীয় স্থান : সীমান্তবর্তী দর্শনীয় স্থান, মাতামুহুরী নদী ও কলাতলা রিসোর্ট | Ngn News

Published

on

By

চুয়াডাঙ্গার দর্শনীয় স্থান: সীমান্তবর্তী দর্শনীয় স্থান, মাতামুহুরী নদী ও কলাতলা রিসোর্ট

 

চুয়াডাঙ্গার দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের সমৃদ্ধ এক জনপদ। জেলার পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে অন্যতম হলো সীমান্তবর্তী দর্শনীয় স্থান, মাতামুহুরী নদী ও কলাতলা রিসোর্ট, যা ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা এনে দেয়।

১. সীমান্তবর্তী দর্শনীয় স্থান: ইতিহাস ও প্রকৃতির মিশ্রণ

চুয়াডাঙ্গা জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।

  • এখানকার সবুজ প্রকৃতি, শান্ত পরিবেশ ও সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
  • চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত এলাকার কিছু জায়গায় ঐতিহাসিক নিদর্শন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে।
  • ভ্রমণকারীরা সীমান্তের কাছ থেকে দুই দেশের সংস্কৃতির পার্থক্য ও মিল উপলব্ধি করতে পারেন।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনীয় স্থান

২. মাতামুহুরী নদী: শান্ত সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি

মাতামুহুরী নদী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এবং এটি চুয়াডাঙ্গার অন্যতম প্রধান নদী।

  • নদীর তীরে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যার সূর্যাস্ত উপভোগ করা দারুণ অভিজ্ঞতা
  • বর্ষাকালে নদী ভ্রমণ এক অনন্য আনন্দ দেয় এবং নদীর চারপাশের গ্রামগুলো অত্যন্ত মনোরম।
  • মাছ ধরার নৌকা ও স্থানীয় কৃষকদের জীবনযাত্রা নদীঘেঁষা অঞ্চলে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ যোগ করে।

৩. কলাতলা রিসোর্ট: আধুনিক পর্যটনের নতুন মাত্রা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনীয় স্থান

চুয়াডাঙ্গার অন্যতম আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র কলাতলা রিসোর্ট, যা শহুরে কোলাহল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আদর্শ।

  • রিসোর্টটি প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত এবং নান্দনিক স্থাপত্য ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
  • পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে কিছু সময় প্রকৃতির মাঝে নিরিবিলি কাটানোর জন্য এটি এক উপযুক্ত স্থান
  • পর্যটকরা এখানে স্থানীয় খাবারের স্বাদ নিতে পারেন ও বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রম উপভোগ করতে পারেন

শেষ কথা

চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী দর্শনীয় স্থান, মাতামুহুরী নদী ও কলাতলা রিসোর্ট পর্যটকদের জন্য প্রকৃতি, ইতিহাস ও আধুনিক বিনোদনের এক অনন্য মিশ্রণ তৈরি করেছে। যারা স্বল্প খরচে একটি শান্তিপূর্ণ ও মনোমুগ্ধকর ভ্রমণ করতে চান, তাদের জন্য চুয়াডাঙ্গা হতে পারে একটি আদর্শ গন্তব্য

See More>>

Please follow and like us:
Continue Reading

Trending

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial