শ্যালকের হাঁসুয়ার কোপে বোনের স্বামী নিহত

শ্যালকের হাঁসুয়ার কোপে হত্যা

শ্যালকের হাঁসুয়ার কোপে হত্যা

রাজশাহীতে শ্যালকের হাঁসুয়ার কোপে প্রাণ হারালেন বোনের স্বামী

রাজশাহীর নওদাপাড়া এলাকায় পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বোনের স্বামী রুহুল আমিন (৪০) শ্যালকের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন।

শনিবার (২২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে মহানগরীর নওদাপাড়া কালুর মোড়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত রুহুল আমিন ওই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। তার শ্যালক মিন্টু (৩৫) পারিবারিক জমির মাপজোক চলাকালে রুহুল আমিনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে।

দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে মিন্টু ক্ষিপ্ত হয়ে হাঁসুয়া দিয়ে রুহুল আমিনের গলায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

শ্যালকের হাঁসুয়ার কোপে হত্যা

ঘটনার পর পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত -হাঁসুয়ার 

শাহমখদুম থানার ওসি মাসুমা মোন্তাকিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “রুহুল আমিনের শ্বশুরের জমি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। আজকের মাপজোকের সময় কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে মিন্টু তার বোনের স্বামীকে হাঁসুয়ার কোপে হত্যা করে।”

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই মিন্টু পালিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রুহুল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

শ্যালকের হাঁসুয়ার কোপে হত্যা

পরিবারের অভিযোগ ও আইনি ব্যবস্থা

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি। পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্ত মিন্টুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ড এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল, যার পরিণতি হলো এই মর্মান্তিক মৃত্যু।

উপসংহার

পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধ থেকে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড সত্যিই দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিলে হয়তো এমন ঘটনা এড়ানো যেত। পুলিশ জানিয়েছে, শিগগিরই অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial