গাজায় পণ্য প্রবেশ বন্ধ করল ইসরায়েল
পবিত্র রমজান মাসেই অবরুদ্ধ গাজায় সব ধরনের পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (২ মার্চ) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ইসরায়েল দাবি করছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে তাদের শর্ত মেনে নিতে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই মানবিক সহায়তা বন্ধ করা হয়েছে। তবে এতে গাজার বাসিন্দারা চরম সংকটে পড়েছেন।
শনিবার (১ মার্চ) প্রথম দফা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ইসরায়েল প্রস্তাব দেয়, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হোক। তবে হামাস এটিকে কৌশলগত “বাহানা” বলে দাবি করেছে এবং বলছে, ইসরায়েল দ্বিতীয় দফার আলোচনা ভেস্তে দিতে চাইছে। নেতানিয়াহুর দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফের প্রস্তাব হামাস প্রত্যাখ্যান করায় গাজায় সব ধরনের পণ্য প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাস যদি যুদ্ধবিরতি চায়, তবে অবশ্যই জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে, অন্যথায় আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হামাসের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তকে “সস্তা ব্ল্যাকমেইল” বলা হয়েছে। তারা মধ্যস্থতাকারীদের দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি চায়, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার ও বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপের চুক্তি বাস্তবায়ন হোক। তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চায়, যা হামাসের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।
পণ্য সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পর গাজায় চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষ হন্যে হয়ে খাদ্য খুঁজছে। ময়দা, রুটি—যা পাচ্ছে, তা নিয়েই ইফতারের চেষ্টা করছে। অনেকের ধারণা ছিল, ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে, কিন্তু পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যে, ইসরায়েল আবারও বোমা হামলা শুরু করতে পারে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দ্রুত সরবরাহের জন্য তিনি একটি ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জরুরি কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করে এই সহায়তা দ্রুত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গাজায় পণ্য প্রবেশ বন্ধ করল ইসরায়েল