
জুলাই অভ্যুত্থান: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা ও শান্তিরক্ষা মিশনের ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে চলমান আন্দোলনের সময় সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিল জাতিসংঘ। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল, যদি সেনাবাহিনী এই দমন-পীড়নে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জাতিসংঘের সতর্কবার্তা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষা মিশন
সম্প্রতি বিবিসির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হার্ডটক-এ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের উদ্বেগ
গত ৫ মার্চ বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে প্রচারিত হার্ডটক-এ বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও মানবিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময়, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে সরে যাওয়ার পর ছোট দেশগুলোর ওপর এর প্রভাব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ভলকার তুর্ক বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আন্দোলন করেছিল, যা শেখ হাসিনার সরকার দমন করার চেষ্টা করেছিল। তবে আশার বিষয় ছিল, তখন জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের কণ্ঠ শক্ত ছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তখনই সতর্ক করা হয়েছিল— যদি তারা দমন-পীড়নে অংশ নেয়, তাহলে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের জায়গা নাও থাকতে পারে।
ড. ইউনূসের ভূমিকা ও জাতিসংঘের তদন্ত
ভলকার তুর্ক আরও জানান, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতিসংঘের সহযোগিতা চান।
তিনি বলেন, “ড. ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই আমাকে বললেন, আপনি কি একটি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে পারেন? পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে সেখানে কী ঘটেছে, তা তদন্ত করা দরকার।”
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সে সময় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয় এবং তা কার্যকরী ভূমিকা রাখে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা মিশনের ভবিষ্যৎ
জাতিসংঘের এই সতর্কবার্তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে এই অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়, তবে এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
জাতিসংঘের এই বক্তব্য বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন আলোচনার বিষয়। জাতিসংঘের সতর্কবার্তা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষা মিশন
2 thoughts on “জুলাই অভ্যুত্থান : জাতিসংঘের সতর্কবার্তা ও শান্তিরক্ষা মিশনের ভবিষ্যৎ”