যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টার মধ্যেই রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা, নিহত ১৪

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ  – যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চললেও ইউক্রেনে রুশ হামলা অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতভর উত্তরাঞ্চলীয় শহর দোব্রোপিলিয়া ও খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এ হামলায় পাঁচ শিশুসহ অন্তত ১৪ জন নিহত এবং ৩৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ – জেলেনস্কির কড়া প্রতিক্রিয়া

প্রাণঘাতী এ হামলার নিন্দা জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন,
‘এসব হামলা প্রমাণ করে যে রাশিয়া শান্তির পক্ষে নয়।’

এ হামলা এমন এক সময়ে হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা স্থগিত রেখেছে এবং ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে সাম্প্রতিক বাকবিতণ্ডার জেরে ওয়াশিংটন ইউক্রেনের প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিন্দা

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ হামলা – শুক্রবারের হামলার কঠোর সমালোচনা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জোটের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান কাজা কালাস বলেন,
‘রাশিয়ার অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পুতিনের আসল উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে—তাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনো ইচ্ছা নেই।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: হামলায় নিহত ১৪, শান্তি আলোচনার চেষ্টা অব্যাহত

সীমান্তে উত্তেজনা ও যুদ্ধবিরতির আলোচনা

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলের তিনটি গ্রাম ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলমুক্ত করেছে রুশ সেনারা।

যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতা চলমান রয়েছে। মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করেছিল সৌদি সরকার।

বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন জেদ্দায় অনুষ্ঠেয় এই আলোচনার দিকে—যেখানে নির্ধারিত হতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ।

আরোও পড়ুন..