Health

জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ

Published

on

 

 

জাতীয় সংসদ নির্বাচন

ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো নির্বাচন। তাই চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ। তবে তার আগে সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদ জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ রাশেদ খান এ মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না—এটি আমাদের স্পষ্ট কথা।”

নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি

মুহাম্মদ রাশেদ খান আরও বলেন, “গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় একসঙ্গে আলোচনায় আসতে হবে। কেউ কেউ বলছেন, গণহত্যার বিচারের আগে নির্বাচন নয়। কিন্তু স্বৈরাচারী হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ইতোমধ্যে ভারতে পালিয়ে গেছেন। তারা যদি দেশে না আসে, তাহলে কি নির্বাচন হবে না?”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “গত সাত মাসে গণহত্যার বিচারে প্রত্যাশিত কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। এখন পর্যন্ত সরকার কোনো নির্বাচনী রোডম্যাপও প্রকাশ করতে পারেনি, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হতাশাজনক।”

জাতীয় সংসদ নির্বাচন

 

জাতীয় পার্টিকে স্বৈরাচারের সহযোগী বললেন রাশেদ খান

জাতীয় পার্টিকে স্বৈরাচারের সহযোগী উল্লেখ করে মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, “এই দলটি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। রংপুরবাসীকে আহ্বান জানাই—জাতীয় পার্টি থেকে বেরিয়ে এসে গণঅধিকার পরিষদের ছায়াতলে আশ্রয় নিন।”

জাতীয় সংসদ নির্বাচন

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ

ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহাগ হোসেন বাবু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের উচ্চতর সদস্য হানিফ খান সজীবসহ দলীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

 নেতারা দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, দেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হলে রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন না করা হলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠতে পারে।

Advertisement

আরোও পড়ুন….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version