রাজশাহী বিভাগ

প্রভাবশালীর মামলায় জর্জরিত গ্রামবাসী | নওগাঁয় সরকারি জলাশয় বেদখল

Published

on

প্রভাবশালীর মামলায় জর্জরিত গ্রামবাসী

জেলা প্রতিনিধি: কামরুল হাসান, নওগাঁ।

নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের কুঁজাগাড়ী এলাকায় একটি সরকারি জলাশয় (ডহর) দীর্ঘ বছর যাবত অবৈধভাবে দখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে ঘর জামাই রহিম মোল্ল্যা এবং তার ছেলে বুলবুল হাসানের বিরুদ্ধে। বিয়ের সুবাদে রহিম মোল্ল্যা ওই গ্রামে তার স্ত্রীর মাধ্যমে শ্বশুরের অনেক সম্পত্তি পেয়েছিলেন। শ্বশুরের মৃত্যুর পর তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী কুঁজাগাড়ীতে স্ত্রী-সন্তানসহ ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করতে থাকেন। তবে, তার নামে কোনো সম্পত্তি নেই এবং সব কিছু স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রি করা রয়েছে।

তবে, তিনি গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে বারবার আদালতে মামলা দায়ের করছেন এবং দাবি করেছেন যে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হচ্ছে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, অত্র এলাকায় অবস্থিত একটি জলাশয় দখলমুক্ত করার পর রহিম মোল্ল্যা ও তার ছেলে নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন। এছাড়া, এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ:


গ্রামবাসীরা জানান, সরকারি জলাশয় (ডহর)টি এক সময় গ্রামবাসীদের ব্যবহারের জন্য ছিল, কিন্তু এটি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। জলাশয়ের পাশে রহিম মোল্ল্যার ৭ বিঘা জমি রয়েছে, তবে তিনি ইচ্ছে করে এই জমিতে ধান লাগাননি এবং সুযোগ নিয়ে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছেন। চলতি বছর ১৪ জানুয়ারি এবং ২১ জানুয়ারি দুটো মিথ্যা মারপিট ও হুমকি-ধামকির মামলা গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে দায়ের করেন তিনি।

ভুক্তভোগীদের মতামত:


গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ ও জনাব আলী অভিযোগ করেছেন, তারা দীর্ঘ সময় ধরে এই জলাশয়টি ফিরে পেতে নানা ধরনের প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা আরো বলেন, “এই ডহরটি ফের তাদের হাতে চলে গেলে আমরা আর নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো না।”

একই গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী, জহুরুল ইসলাম বলেন, “এরা গ্রামবাসীকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁদে ফেলত এবং নগদ অর্থ আদায় করত। তারা শুধু জমি দখল করার নেশায় পরিণত হয়েছে।”

রহিম মোল্ল্যার বক্তব্য:


এ বিষয়ে রহিম মোল্ল্যা দাবি করেন, “আমরা কোনো মিথ্যে মামলা করিনি। আমার ছেলেকে তারা পিটিয়ে আহত করেছিল, তাই তার পক্ষ থেকে মামলা করেছি। ডহরটি অবৈধভাবে দখল হয়েছে, এবং আমি এখনো আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।”

পুলিশের বক্তব্য:


নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, “এ বিষয়ে আমি জানতাম না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তদন্ত করা হবে, এবং পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

SEE MORE… NGN News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version