গাজা আবার কাঁদছে… আগুন, ধ্বংস আর মানুষের আর্তনাদে প্রকম্পিত হচ্ছে পুরো অঞ্চল।”
গত ৪৮ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯২ জন নিরীহ মানুষ।
এই খবর নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তারা বলছে—
এই দুই দিনে আহত হয়েছেন আরও ২১৯ জন। আহতদের অনেকে এখনো মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।
“গাজা যেন আজ একটি শহর নয়, একটি শোকস্তম্ভ। প্রতিটি দেয়াল, প্রতিটি ধুলোর নিচে চাপা পড়ে আছে একটি করে স্বপ্ন, একটি করে পরিবার।”
গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই বর্বরতা আজো থামেনি।
এই পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ১৫৭ জনে!
আর আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৪ জন।
এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়—
এগুলো হলো মা হারানো সন্তানের কান্না, সন্তান হারানো বাবার চিৎকার, কিংবা ধ্বংসস্তূপে বসে থাকা এক বৃদ্ধার নির্বাক দৃষ্টি…
চলতি বছরের জানুয়ারিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি হয়েছিল।
তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো এবার গাজায় একটু শান্তি ফিরবে।
কিন্তু সব আশায় জল ঢেলে দেয় ১৮ মার্চ রাত।
আবারও শুরু হয় ইসরায়েলি বর্বরতা।
মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে, ১৮ থেকে ১৯ এপ্রিল
ইসরায়েলি হামলায় নতুন করে নিহত হয়েছেন ১,৭৮৩ জন।
এই খবর শুনে স্তব্ধ হয়ে গেছে বিশ্ব।
কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে এখনও যেন কোনো জল নেই… কেবল নীরবতা।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আবারও একটি যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে—
কিন্তু সে আলোচনা থেমে আছে।
অন্যদিকে,
গাজায় প্রতিদিনই নতুন নতুন লাশ যোগ হচ্ছে লম্বা মিছিলে।
“প্রশ্ন উঠছে—কত মৃত্যু হলে থামবে এই বর্বরতা?”
“আর কত কান্না হলে কানে যাবে বিশ্ব নেতাদের?”
“এই শিশুরা কী দোষ করেছিলো?”
আজকের এই পরিস্থিতি আমাদের সবাইকে মনে করিয়ে দিচ্ছে—
শুধু সংবাদের জন্য নয়, আমাদের মানবিকতার জন্যই গাজার পাশে দাঁড়ানো দরকার।