চট্টগ্রামে ‘শেখ হাসিনা ফোর্সের’ ব্যানারে ঝটিকা মিছিল, তিন যুবক আটক

চট্টগ্রামে ‘শেখ হাসিনা ফোর্সের

চট্টগ্রামে ‘শেখ হাসিনা ফোর্সের’ ব্যানারে ঝটিকা মিছিল, তিন যুবক আটক

চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা ফোর্সের

 ২২ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীতে ভোররাতে ঝটিকা মিছিল করেছে একদল তরুণ যুবক। তাঁদের হাতে ছিল ‘শেখ হাসিনা ফোর্স’ লেখা ব্যানার। মিছিলটি নগরের লাভ লেইন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। পরে পুলিশের অভিযান চালিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণকারী তিন যুবককে আটক করা হয়েছে।

 মিছিলের সময় ও স্থান

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে, ফজরের নামাজের কিছু সময় পর, লাভ লেইন এলাকার সড়কে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক একত্র হয়ে হঠাৎ করেই মিছিল শুরু করেন। তাঁদের হাতে ছিল একটি ব্যানার, যেখানে লেখা ছিল—‘শেখ হাসিনা ফোর্স’। এ সময় তারা মিছিল থেকে স্লোগান দিতে থাকেন,
“শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে।”

 ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অভিযান

এই মিছিলের একটি ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, মিছিলকারীরা স্লোগান দিতে দিতে একটি গলির ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েকজনের মুখ ছিল খোলা, এবং কারও মুখে ছিল মাস্ক বা রুমাল।

চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা ফোর্সের

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই পুলিশ তৎপর হয়। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন,
“ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আমরা তিনজনকে শনাক্ত করে আটক করেছি। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।”

 এর আগেও ঘটেছে একই ধরনের মিছিল

চট্টগ্রাম শহরে এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল, নগরের বহদ্দারহাট মোড়ে এমন আরেকটি ঝটিকা মিছিলের ঘটনা ঘটে। সেই মিছিলটিও ছিল আওয়ামী লীগ-সমর্থিত যুবকদের দ্বারা সংগঠিত। সেখানেও একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর, পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

 পুলিশের বক্তব্য ও সতর্কবার্তা

ওসি মো. আবদুল করিম আরও জানান,
“ঝটিকা মিছিল জনমনে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কেউ অস্থির করতে না পারে, সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।”

পুলিশ জানায়, যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যদি কারও বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বা সহিংস উদ্দেশ্যে মিছিল করার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চট্টগ্রামে ‘শেখ হাসিনা ফোর্সের


 কে এই ‘শেখ হাসিনা ফোর্স’?

এই নামে আওয়ামী লীগের কোনো আনুষ্ঠানিক সংগঠন নেই। অনেকেই ধারণা করছেন, এটি হতে পারে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কোনো অনানুষ্ঠানিক যুব সংগঠন বা ঘটনাবিধি-ভিত্তিক তরুণদের দল। তবে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ এখনো এই মিছিল বা ব্যানারের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কোনো মন্তব্য করেনি।


 নগরবাসীর প্রতিক্রিয়া

চট্টগ্রামবাসীর মধ্যে এই ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে যুবকদের রাজনৈতিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখলেও, অনেকেই এমন ঝটিকা কার্যক্রমকে আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন।

নগরীর এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
“রাতে বা ভোররাতে হঠাৎ এভাবে মিছিল হলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলে তা নিয়ম মেনে করাই ভালো।”


 সামনে কী হতে পারে?

বর্তমানে রাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পুলিশ সতর্ক রয়েছে এবং যে কোনো সময় আরও অভিযান চালানো হতে পারে।

See More>>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *