ট্রাম্পকে চিঠি দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, কী বলতে চাইছে বাংলাদেশ?
আগামী দুই দিনের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি চিঠি পাঠাতে যাচ্ছে, যার উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক পুনর্বিবেচনা করা। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চিঠি পাঠাবেন।
বিভিন্ন দপ্তরের জন্য আলাদা চিঠি:
এছাড়া, মার্কিন বাণিজ্য বিষয়ক দপ্তর ‘অফিস অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ’ (ইউএসটিআর)কে আলাদা একটি চিঠি পাঠানো হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন যে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুটি চিঠি পাঠানো হবে—একটি ট্রাম্পের কাছে এবং অন্যটি ইউএসটিআরের কাছে।
চিঠির উদ্দেশ্য ও আলোচনার সুযোগ:
সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ মার্কিন সরকারের কাছে বাড়তি শুল্কের বিষয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য আলোচনা শুরু করতে চায়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এটি একটি ‘নেগোশিয়েবল’ (সমঝোতার যোগ্য) বিষয়, অর্থাৎ আলোচনা করা সম্ভব। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চিঠিতে দুদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও কীভাবে বৃদ্ধি করা যেতে পারে, তাও উল্লেখ করা হবে।
পাল্টা শুল্ক আরোপ ও বাংলাদেশের অবস্থান:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন সরকার বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ‘রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, সম্প্রতি বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা আগামী ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে আলোচনার পথ উন্মুক্ত রেখেছে এবং ৫০টিরও বেশি দেশ এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছে। বাংলাদেশও এই পথ অনুসরণ করতে যাচ্ছে।
চিঠির মাধ্যমে সম্ভাব্য আলোচনার সুযোগ:
বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই চিঠি পাঠানোর মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতামূলক আলোচনা শুরু করতে পারবেন এবং দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্কের বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।
One thought on “ট্রাম্পকে চিঠি দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, কী বলতে চাইছে বাংলাদেশ?”