দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগে কিশোরী সানজিদাকে হত্যার অভিযোগ – স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন
নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামে ভয়াবহ এক পারিবারিক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী, সানজিদাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বজনরা। আজ শুক্রবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলা হয়।
নিহত কিশোরীর পরিচয়
সানজিদা, সৌদিপ্রবাসী শামসুল মণ্ডলের মেয়ে। তিনি ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। কয়েক বছর ধরে তার বাবা বিদেশে অবস্থান করছেন।
অভিযুক্ত কারা?
স্বজনদের অভিযোগে বলা হয়, সানজিদার দাদা মোসলেম মণ্ডল ও চাচা সাজিম মণ্ডল পরিকল্পিতভাবে তাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেন।
ঘটনার পেছনের কারণ
-
কয়েক বছর আগে শামসুল মণ্ডল তাঁর বাবার (মোসলেম) কাছ থেকে বসতভিটার উত্তরের জমি কিনে নেন।
-
সেখানে একটি মাটির ঘর নির্মাণের পর সম্প্রতি একটি পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পরিবারটি।
-
কিন্তু মোসলেম ও সাজিম এতে বাধা দেন এবং অন্য জায়গায় ঘর করতে বলেন।
-
এই বিরোধ থেকেই পারিবারিক কলহ শুরু হয়।
ঘটনার দিন (৯ এপ্রিল)
-
প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরে একা ঘরে থাকাকালে সানজিদাকে জাপটে ধরে বাঁ হাতের শিরায় বিষ প্রয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
-
এরপর তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
-
১২ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় সানজিদার মৃত্যু হয়।
গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ
-
মৃত্যুর আগে সানজিদা নিজের দাদা ও চাচার নাম করে বিষ প্রয়োগের কথা জানিয়ে যান।
-
পরিবারের দাবি—এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রমাণ তাঁদের কাছে আছে।
আইনি পদক্ষেপ ও মামলার অগ্রগতি
-
রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
-
অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিম পলাতক।
-
আত্রাই থানার ওসি শাহাবুদ্দীন জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবারের দাবি
সানজিদার পরিবারের সদস্যরা সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আবেগতাড়িত বক্তব্য দেন।
সংবাদ চিত্র (উল্লেখযোগ্য):
-
সংবাদ সম্মেলনে কান্নাভেজা চোখে সানজিদার মা ও মামার উপস্থিতি
-
প্রেসক্লাবে ভিড় করা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও প্রতিবাদী স্বজনদের দৃশ্য
এই মর্মান্তিক ঘটনার বিচার চায় নওগাঁবাসী। সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনি কার্যক্রমের মাধ্যমে যেন অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করা হয়—এটাই সকলের প্রত্যাশা।