বাংলাদেশে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে নিজ দেশে ফিরলেন ৩ শ্রীলঙ্কান নাগরিক

বাংলাদেশে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে

বাংলাদেশে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে নিজ দেশে ফিরলেন ৩ শ্রীলঙ্কান নাগরিক

 ২৬ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে

বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা দেখতে এসে অপহরণের শিকার হওয়া তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার শেষে তারা শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) নিজ দেশে ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল হক


ঘটনার বিস্তারিত

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার একটি বাড়ি থেকে বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—

  • মালাভি পাথিরানা

  • তার স্ত্রী পাথিরানা

  • থুপ্পি মুদিইয়ান সেল্যাগ নীল

ডিআইজি রেজাউল হক জানান, বাগেরহাটের শহিদুল শেখ নামের এক ব্যক্তির আমন্ত্রণে ২২ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন তারা। সেদিন রাতেই বাগেরহাটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।


মুক্তিপণের জন্য পরিবারের সাথে যোগাযোগ

অপহরণকারীরা শ্রীলঙ্কায় থাকা জিম্মিদের পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে।
বাংলাদেশের একটি নম্বর ব্যবহার করে এই দাবি করা হয়।
পরে শ্রীলঙ্কার পরিবার বিষয়টি শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে জানায়।

পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃতদের অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালায় এবং সফলভাবে তাদের উদ্ধার করে।


অভিযানে আটক চারজন

ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।
তারা হলেন—

  • কাজী এমদাদ হোসেন

  • শহিদুল শেখ

  • জনি শেখ

  • এস এম সামসুল আলম

পরে আটকদের মধ্যে তিনজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ জানায়, মালাভি পাথিরানাদের সাথে এমদাদ ও শহিদুলের পরিচয় হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে
সেই পরিচয় থেকেই ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়।


উদ্ধারকৃত শ্রীলঙ্কান নাগরিকের প্রতিক্রিয়া

সংবাদ সম্মেলনে মালাভি পাথিরানা বলেন,
“কিছু খারাপ মানুষের জন্য বাংলাদেশের সব জনগণের বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক ধারণা রাখতে চাই না।”

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতদের খুলনায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিরাপদে দেশে পাঠানো হয়।


নিজ দেশে ফেরা

শুক্রবার দুপুরে তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিক নিরাপদে নিজ দেশে রওনা হন।

See More>>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *