যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে উত্তেজনা, বিক্ষোভ-বিবাদ
শনিবার ফের রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তৃণমূল পরিচালিত শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সভায় যোগ দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু তাঁর উপস্থিতিকে ঘিরে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা।
অভিযোগ, বাম ছাত্র সংগঠন ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শুরু হয় স্লোগান, বিক্ষোভ এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ। এই ঘটনার জেরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তাঁকে দ্রুত এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে পৌঁছাতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন বিক্ষোভকারীরা। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, প্ল্যাকার্ড এবং পোস্টার ছেঁড়া— সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বাধ্য হয়ে অন্য প্রবেশদ্বার দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন তিনি।
এরপর ওয়েবকুপার সভায় যোগ দেওয়ার সময়ও তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হয়। সভাস্থলে ঢুকতেই বিক্ষোভকারীরা টেবিল-চেয়ার ফেলে প্রতিবাদ জানান। সভা শেষে বেরোনোর সময় ফের তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, প্রায় ছয় বছর আগেও একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, যখন তিনি বিজেপিতে ছিলেন।
এবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এই ঘটনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।